সব্যসাচী লেখক ও কবি সৈয়দ শামসুল হকের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগ।
সোমবার (৫ জুলাই) কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের নব-নির্বাচিত সভাপতি মোঃ রাজু আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন নয়নের নেতৃত্বে জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ সব্যসাচী কবি সৈয়দ শামসুল হকের সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান আশিক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সহ জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রাজু আহমেদ জানান, সব্যসাচী লেখক ও কবি সৈয়দ শামসুল হক কুড়িগ্রাম জেলার কৃতি সন্তান। বাঙালি মধ্যবিত্ত সমাজের আবেগ-অনুভূতি-বিকার সবই খুব সহজ কথা ও ছন্দে উঠে এসেছে তাঁর লেখনীতে। বাংলা সাহিত্যের প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি বিচরণ করেছেন অনাবিল ছন্দে। তিনি নিজ মেধা, মনন ও সৃজনীশক্তির মাধ্যমে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছেন এবং নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সাহিত্যের এক তুলনাহীন অবস্থানে। বাংলা সাহিত্য অঙ্গনে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন নয়ন জানান, কুড়িগ্রামের কৃতি সন্তান লেখক সৈয়দ শামসুল হক ছয় দশক ধরে গল্প, কবিতা, উপন্যাস, গান, নাটক, চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যসহ সাহিত্য ও শিল্পের ভুবনে অবিরাম বিচরণ করেছেন। সাহিত্যের সকল শাখায় সাবলীল বিচরণের সক্ষমতাই সৈয়দ হককে দিয়েছে সব্যসাচী উপাধি। সৈয়দ শামসুল হকের লেখায় মুক্তিযুদ্ধ প্রবলভাবে উঠে এলেও ইতিহাস, শোষণ-নির্যাতন, প্রেম-বিরহ সবই আছে তাঁর সাহিত্যে।
উল্লেখ্য, সৈয়দ শামসুল হকের জন্ম ১৯৩৫ সালের ২৭শে ডিসেম্বর বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা কুড়িগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সালে ৮০ বছর বয়সে মৃত্যবরণ করেন। তারপর তাকে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে দাফন করা হয়।