লকডাউনে শ্রমিক সংকট ও অর্থ সংকটের কারণে এক বিঘা জমির পাকা ধান কাটতে পারছিলেন না গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপির বাড়ি গ্রামের কৃষক কলিমুদ্দিন। ক্ষেতেই ধান নষ্ট হওয়ার উপক্রম হচ্ছিল।
খবর পেয়ে তেলিহাটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের পক্ষে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর, সম্পাদক শেখ সজল আহাম্মেদ রানা সেখানে ছুটে যান। ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ের ছাত্রলীগের ১১ জন নেতাকর্মী নিয়ে শেখ সজল আহাম্মেদ রানা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কৃষকের এক বিঘা জমির ধান কেটে মাড়াই করে দেন। হঠাৎ রাজপথের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কৃষকের ক্ষেতের ধান কাটতে দেখে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন সচেতনমহলসহ স্থানীয়রা।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা পাকা ধান কেটে দেয়ায় কৃষক অনেকটাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ‘অন্যের দুই বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ধান চাষ করেছেন। লকডাউনের মধ্যে ধান কাটার উপযুক্ত হয়। লকডাউনে শ্রমিক সংকটের কারণে পাকাধান কাটতে পারছিলাম না। এছাড়াও এলাকায় যে শ্রমিক পাওয়া যায় তাদের মজুরি খুব বেশি। ক্ষেতের ধান পাকার পরও তা কাটতে না পারায় কিছুটা ক্ষতির শঙ্কায় ছিলাম। আমার এমন অসহায়ত্বের কথা শুনে ছাত্রলীগ নেতা সজল রানা আরও নেতাকর্মী সঙ্গে নিয়ে এসে টাকা-পয়সা ছাড়াই আমার এক বিঘা ক্ষেতের ধান কেটে দেন। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যেভাবে আমার ধান কাটতে সাহায্য করেছেন তা কখনও ভুলব না।’
ছাত্রলীগ নেতা শেখ সজল আহাম্মেদ রানা বলেন, ‘গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগ ছাত্রনেতা সুলতান মোঃ সিরাজুল ইসলাম ভাইয়ের নির্দেশনায় আমাদের এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে আরো বলেন ধান কাটার প্রতি মৌসুমেই অন্য জেলা যেমন ময়মনসিংহ ও জামালপুর জেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকরা শ্রীপুরে ধান কাটতে আসেন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ঘোষিত লকডাউনে অন্য এলাকার শ্রমিক এখানে আসতে পারেননি। এদিকে কৃষক কলিমুদ্দিন এক বিঘা জমির পাকা ধান নিয়ে কাটতে না পেরে বিপাকে পড়েন। কৃষক কলিমুদ্দিনের অসহায়ত্বের কথা শুনে ছাত্রলীগের ইউনিয়ন ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তার ধান কেটে দিয়েছি।’
এ সময় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের দিপু, শ্রাবণ, রানা, ইমরান, ইমন, বিপ্লব, হৃদয়, জুনায়েদ, রাব্বি, বাবু, ও সাইদুল সহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছিল এ সংকটকালে প্রয়োজনে অন্যদের ধানও কেটে ঘরে তুলে দেবে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।