সুলতান মোঃ সিরাজুল ইসলাম:
সভ্যতার ইতিহাসে জ্ঞান-বিজ্ঞানে মুসলমানরা একসময় সবচেয়ে এগিয়ে ছিল। আব্বাসীয় খিলাফতের সময় পৃথিবীর প্রথম মান মন্দির তথা জ্যোতির্বিজ্ঞানের গবেষণাগার প্রতিষ্ঠিত হয়, শল্যচিকিৎসায় ইবনে সিনার অসামান্য অবদান, দর্শনে ইবনে খালদুনের অনন্যতার কথা, রসায়ন শাস্ত্রে জাবির ইবনে হাইয়ান এর অবদান জ্ঞান বিজ্ঞানে মুসলমানদের ছিল জয়জয়কার। এখন সবই স্মৃতি মূল ধারার জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা থেকে মুসলমানরা প্রায় কয়েক শত বছর ধরে যথেষ্ট দূরত্বে অবস্থান করছে। মুষ্টিমেয় কিছু লোকের ধর্মান্ধতা, ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা আজ ইসলামকে ভুলভাবে মানুষের সামনে উপস্থিত করিয়েছে। হারিয়ে যাওয়া ইসলামের চিরায়ত এই ঐতিহ্যকে ধারণ করে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে দৃষ্টিনন্দন ৫৬০ টি মডেল মসজিদ ও সংস্কৃতি কেন্দ্র নির্মাণ আওয়ামী লীগের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

৮ হাজার ৭২২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এসব মডেল মসজিদ গুলো নির্মাণ করা হয়েছে আরববিশ্বের মসজিদ কাম ইসলামিক কালচারাল সেন্টারের আদলে। মসজিদগুলোতে নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা অজুখানা, নামাজ কক্ষ, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, হেফজখানা, গণশিক্ষা কেন্দ্র, গবেষণা কেন্দ্র, পাঠাগার, মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা, জানাযার ব্যবস্থা, হাজীদের নিবন্ধন সহ সকল সুবিধা রয়েছে।

সরকারি উদ্যোগ ও অর্থায়নে একই সাথে এতগুলো মসজিদ নির্মাণের এই মহতী উদ্যোগ শুধু জাতীয় ইতিহাসে নয় বরং মুসলিম উম্মাহর ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

মুসলিম বিশ্বের কোন শাসক বা সরকার প্রধানও একসাথে ৫৬০ টি মসজিদ নির্মাণের নজির দেখাতে পারেনি। বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই মহতী উদ্যোগের কথা যুগ যূ্গ স্মরণ রাখবে। ইসলামের বিকাশে এই মডেল মসজিদ গুলো আলোকবর্তিকা হয়ে আলো ছড়াবে ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে।