প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, ব্যক্তিগত স্বার্থ ও লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে উঠে ত্যাগ স্বীকার করে এগিয়ে গেলেই নিজেদের প্রকৃত নেতা হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে। তিনি বলেন, চাওয়া-পাওয়ার ঊর্ধ্বে উঠে ত্যাগ স্বীকার করে এগোতে পারলে সঠিক নেতা হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা যায়। কিন্তু গড্ডলিকা প্রবাহে অর্থ-সম্পদের পেছনে ছুটলে ওই অর্থ সম্পদেই ভেসে যেতে হয়। তাতে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতাও থাকে না, দেশ এবং মানুষকেও কিছু দেওয়া যায় না।

বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রেও ছাত্রলীগের তুচ্ছ ঘটনাকে বড় করে প্রকাশ করা হয় বলেও এ সময় মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। এদিকে আগামীতে দেশে জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি তেলের চাহিদা পূরণ করা একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিদেশ থেকে জ্বালানি তেল সংগ্রহের জন্য ছয় মাসভিত্তিক চুক্তি হয়। বর্তমান চুক্তির মেয়াদ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মজুদ জ্বালানি তেল দিয়ে ৩০-৩৫ দিনের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। এ সময়ের মধ্যে জ্বালানি তেল নিয়ে দুটি জাহাজ দেশে এসে পৌঁছাবে। অর্থাৎ নিরবচ্ছিন্নভাবে দেশে জ্বালানি তেল সরবরাহ অব্যাহত থাকবে।

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মানবতার সেবার পাশাপাশি ভালোভাবে লেখাপড়াও শেখার তাগিদ দিয়ে তাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি। আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ জনশক্তি আমি চাই। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আসবে এবং সে জন্য আমাদের আজকের প্রজন্ম বা প্রজন্মের পর প্রজন্ম নিজেদের প্রস্তুত করবে।

গ্রুপে সদস্য বাড়ানোর জন্য আলতু-ফালতু লোক দলে না ঢোকানোর পরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ছাত্রলীগকে সংগঠন করার সময় গ্রুপ ভারী করতে আলতু-ফালতু লোক দলে ঢোকালে চলবে না। তাতে নিজেদের, দলের এবং দেশের বদনাম হয়। আমাদের পেছনে তো লোক লেগেই আছে। লেগেই থাকবে। আমি জানি, ছাত্রলীগ সম্পর্কে অনেক কথা লেখা হয়। আমরা ক্ষমতায় আছি বলে অনেকে ভেতরে ঢুকে যায় এবং নিজেরা গোলমাল করে। বদনামটা পড়ে ছাত্রলীগের ওপর। ছাত্রদল যত অপকর্ম করে গেছে সেটা নিয়ে কথা নেই। কিন্তু ছাত্রলীগের একটু কিছু হলেই বড় নিউজ।

তিনি বলেন, এখন তথ্যপ্রযুক্তি এবং বিজ্ঞানের যুগ। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা-দীক্ষায় উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। কেননা দেশ চালাতে গেলে শিক্ষা ও জ্ঞানের প্রয়োজন রয়েছে। তেমনি ইতিহাস জানতে হবে এবং দূরদৃষ্টিসম্পন্ন হতে হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের খুনিদেরই শুধু এদেশে পুরস্কৃত করা হয়নি, ৭ মার্চের ভাষণকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে স্বাধীনতার পুরো ইতিহাসটা মুছে ফেলে দিয়ে আবিষ্কার হলো- এক মেজর হুইসেল দিল আর দেশ স্বাধীন হয়ে গেল। আর এ জন্য সংগ্রামের যে পথ ও ইতিহাস সেটা তাদের জানা নেই। তাই আমি বলব, ছাত্ররাজনীতি করতে হলে ইতিহাস জানতে হবে। ইতিহাস না জানলে শিক্ষা নেওয়া যায় না, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে হয়। আগামী দিনে চলার পথ তৈরি করতে হয়। যদিও ইতিহাসের একইরকম পুনরাবৃত্তি ঘটবে না তবে সময়ের বিবর্তনে সেটা আসবে। আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি বলেই আমরা সেটা জানি।
তিনি বলেন, জাতির পিতার আদর্শ বুকে নিয়ে তার হাতে তৈরি সংগঠন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছি, আমাদের উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হবে। আর সারা দেশে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। তিনি এ জন্য ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিজ নিজ এলাকার ভূমিহীন-গৃহহীনদের তথ্য সংগ্রহ করে তাকে দিতে বলেন যেন তিনি তাদের জন্য গৃহনির্মাণ করতে পারেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একেবারে গ্রাম থেকে যেন উন্নয়ন হয় সেই লক্ষ্য অর্জনে এবং আগামী দিনে বাংলাদেশ পরিচালনায় অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক হিসেবে স্বাধীনতার আদর্শে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। যেন সঠিক নেতৃত্ব দেওয়া যায়। ধনসম্পদ, টাকা-পয়সা এগুলো কাজে লাগে না। করোনার সময় অনেক ধনী মানুষের টাকার পাহাড়ও কাজে লাগেনি। এটা মাথায় রাখতে হবে। এটাই বাস্তবতা, এটাই সত্য। তিনি দেশের প্রকৃত ইতিহাস জানার পাশাপাাশি জ্ঞান আহরণে জাতির পিতার লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা,’ এবং ‘আমার দেখা নয়া চীন’সহ জাতির পিতাকে নিয়ে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার যে রিপোর্ট তাকে ভিত্তি করে লেখা সিক্রেট ডকুমেন্ট সিরিজের বইগুলো প্রতিটি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে পড়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে তাদের সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কেননা বিশ্ব আরও গভীর খাদ্য সঙ্কটের সম্মুখীন হতে পারে। পয়সা দিয়েও খাবার কেনা যাবে না। প্রয়োজন হলে ছাত্রলীগকে ধানের চারা রোপণে সাহায্য করতে হবে যেভাবে তারা কোভিড-১৯ সময়কালে কৃষককে ধান কেটে দিয়ে সহযোগিতা করেছিল। সেক্ষেত্রে আমাদের নিজেদের খাবার নিজেদের উৎপাদন করতে হবে। বিদ্যুৎ, পানি এবং জ্বালানি ব্যবহারেও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, বিদ্যুৎ যেন সীমিত আকারে ব্যবহার হয়, যেটুকু লাগবে সেটুকু, না হলে সুইচড অফ করে দিতে হবে। পানি ব্যবহার, সেখানেও মিতব্যয়ী হতে হবে। ওই কল ছেড়ে রেখে, ঝরনা ছেড়ে রেখে গোসল করা চলবে না। সবাইকে বালতি কিনে মগে করে পানি ব্যবহার করতে হবে। এক ফোঁটা পানি যেন অপচয় না হয়। পানির জন্য হাহাকার উন্নত দেশগুলোতে হাহাকার।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ ও শান্তি যাতে বজায় থাকে সেদিকে খেয়াল রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, করোনার কারণে বিশ^ব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা। উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে। মঙ্গলবার সংসদে যেহেতু একটা প্রস্তাব এসেছিল। আমি ভাষণ দিয়েছি। সেখানে অনেক তথ্য দিয়েছি। তাই সব ছাত্রছাত্রীকে বলব, বাংলাদেশের প্রত্যেককেই কিন্তু সাশ্রয়ী হতে হবে। উন্নত দেশগুলোতে পানির জন্য হাহাকার শুরু হয়েছে। তাই আমাদের আগে থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। আমরা আগে থেকেই যদি সাবধানে থাকি তাহলে অবস্থা সামাল দিতে পারব।

ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর উত্তরের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মেহেদি হাসান, সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ, ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় শাখার সভাপতি সঞ্জীব চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের দুটি প্রকাশনা ‘মাতৃভূমি’ এবং ‘জয়বাংলার’ মোড়ক উন্মোচন করেন।

সভার শুরুতে জাতির পিতা ও বঙ্গমাতাসহ ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের শহীদ এবং ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। এক মাসের মধ্যে জ্বালানি তেল নিয়ে দুটি জাহাজ দেশে এসে পৌঁছাবে : বুধবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে জ্বালানি তেলের সঙ্কট সংক্রান্ত প্রশ্ন উত্থাপন করেন সংসদ সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম বকুল। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৬ আগস্ট পর্যন্ত দেশে জ্বালানি তেলের মজুদের পরিমাণ পরিশোধিত ছয় লাখ ২০ হাজার ১৪৮ মেট্রিক টন, অপরিশোধিত ৮১ হাজার ৮৪৬ মেট্রিক টন। মোট মজুদ সাত লাখ এক হাজার ৯৯৪ মেট্রিক টন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) দেশের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে পরিশোধিত জ্বালানি তেল হিসেবে ডিজেল, জেট ফুয়েল, অকটেন, ফার্নেস অয়েল ও মেরিন ফুয়েল এবং অপরিশোধিত জ্বালানি তেল হিসেবে অ্যারাবিয়ান লাইট ক্রুড ও মারবান ক্রুড অয়েল আমদানি করে।

দেশে তেল আমদানি অব্যাহত রাখতে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি তেল সরবরাহ অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে চাহিদা বিবেচনায় চলতি আগস্ট মাসে প্রায় তিন লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল, ৫০ হাজার মেট্রিক টন জেট ফুয়েল ও ৫০ হাজার মেট্রিক টন অকটেন ও সেপ্টেম্বরে প্রায় তিন লাখ মেট্রিক টন ডিজেল, ২০ হাজার মেট্রিক টন জেট ফুয়েল, ৫০ হাজার মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল ও ২৫ হাজার মেট্রিক টন অকটেন আমদানির সূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) বর্ধিত চাহিদা বিবেচনায় আগস্টে আরও ২৫ হাজার মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল ও সেপ্টেম্বরে আরও ২৫ হাজার মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল ও এক লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল সরবরাহের জন্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডে প্রক্রিয়াকরণ ও পরিশোধনের মাধ্যমে পরিশোধিত জ্বালানি তেল উৎপাদনের জন্য আগস্টে প্রায় দুই লাখ মেট্রিক টন ও সেপ্টেম্বরে প্রায় এক লাখ মেট্রিক টন ক্রুড অয়েল আমদানি করা হবে। তা ছাড়া দেশীয় উৎস হতে জ্বালানি তেল সংগ্রহ অব্যাহত রয়েছে।

জ্বালানি সঙ্কটের কারণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বৈশি^ক পরিস্থিতির কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। জুলাইয়ে ক্রুড অয়েলের মূল্য ব্যারেলপ্রতি সর্বোচ্চ ১১৭ দশমিক ৪৮ মার্কিন ডলার অতিক্রম করে। তিনি আরও বলেন, বিশ^বাজারে জ্বালানি তেলের ঊর্ধ্বগতির কারণে পাশর্^বর্তী দেশসহ বিভিন্ন দেশে নিয়মিত তেলের মূল্য সমন্বয় করে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে প্রতিবেশী দেশ ভারতের কলকাতায় গত ৬ এপ্রিল ডিজেলের মূল্য লিটারপ্রতি সর্বোচ্চ ৯৯ দশমিক ৮৩ রুপি ও পেট্রোলের মূল্য সর্বোচ্চ ১১৫ দশমিক ১২ রুপি নির্ধারণ করা হয়। পরে শুল্ক হ্রাসের মাধ্যমে ২২ মে কলকাতায় ডিজেল লিটারপ্রতি ৯২ দশমিক ৭৬ রুপি ও পেট্রোল লিটারপ্রতি ১০৬ দশমিক শূন্য ৩ রুপি নির্ধারণ করা হয়, যা এখনও বিদ্যমান। গত ৪ আগস্টের তথ্য অনুযায়ী, কলকাতায় ডিজেল লিটারপ্রতি ৯২ দশমিক ৭৬ রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১৭ দশমিক ৩৪ টাকা (১ রুপি সমান ১ দশমিক ২৬৫ টাকা) বিক্রি হচ্ছিল। ওই সময়ের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের চেয়ে লিটারপ্রতি ৩৭ দশমিক ৩৪ টাকা বেশি দামে কলকাতায় ডিজেল বিক্রি হচ্ছিল। ওইদিন কলকাতায় পেট্রোলের দাম ছিল ১০৬ দশমিক শূন্য ৩ রুপি, যা বাংলাদেশি টাকায় ১৩৪ দশমিক ১৩ টাকা। ৪ আগস্টের হিসাবে বাংলাদেশের চেয়ে কলকাতায় ৪৮ দশমিক ১৩ টাকা বেশি দামে পেট্রোল বিক্রি হচ্ছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের বিদ্যুতের চাহিদা অনুযায়ী, উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। এদিক থেকে দেশে কোনো বিদ্যুৎ সঙ্কট নেই। বৈশ্বিক চলমান জ্বালানি সঙ্কটের কারণে বাংলাদেশ বিদ্যুতের সাশ্রয়ী ব্যবহার ও পরিকল্পিত লোডশেডিং করে সঙ্কট উত্তরণের চেষ্টা চালাচ্ছে।